বিশ্বাসের কথা কতটা শক্ত করে বলা যায়? বিশ্বাসী প্রানের সুর কতটা অনুপম হতে পারে? বিশ্বাসকে যুক্তির দাঁড়িপাল্লায় মাপা কি খুব সহজ? অবিশ্বাসীকে কতটা মায়াভরা স্পর্শে বিশ্বাসের শীতল পরশ দেয়া যায়? যুক্তিই মুক্তি নাকি বিশ্বাসের যুক্তিতে মুক্তি? এসবের উত্তর মিলতে পারে।
বর্তমান যুগ হলো প্রেজেন্টাশানের যুগ। একটা জিনিসকে আপনি কিভাবে, কতোটা সহজে, কতোটা সাবলীলভাবে, কতোটা মাধুর্যতায় প্রেজেন্টেশান করছেন তার উপর কিন্তু অনেক কিছুই নির্ভর করে। ন্যাচারালি, মানুষের একটা স্বভাব হচ্ছে – এরা তত্ত্বকথা খুব কম হজম করতে পারে। এরা চায় সহজবোধ্যতা। প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২ (Paradoxical Sajid-2) এর লেখক আরিফ আজাদ ঠিক এই পদ্ধতিই বেছে নিয়েছেন।
তিনি গতানুগতিক লেকচার বা তত্বকথার ধাঁচে না গিয়ে, বক্তব্যের বিষয়গুলোকে গল্পের ধাঁচে ফেলে সাজিয়েছেন। প্রতিটি গল্পের শুরুতেই আছে মজার, আগ্রহ উদ্দীপক একটি সূচনা। কোথাও বা গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র সাজিদের সাথে তাঁর বন্ধু আরিফের খুনসুটি, কোথাও বা মজার কোন স্মৃতির রোমন্থন, কোথাও বা আছে সিরিয়াস কোন ব্যাপারে সিরিয়াস কোন হুশিয়ারি। গল্পে মজা আছে, আনন্দ আছে। মোটামুটি, সার্থক গল্পে যা যা উপাদান থাকা দরকার, যা যা থাকলে পাঠকের গল্প পাঠে বিরক্তি আসেনা, রুচি হারায় না- তার সবকিছুর এক সম্মিলিত সন্নিবেশ যেন লেখক আরিফ আজাদের এই সিরিজের একেকটি এপিসোড।
গল্পে গল্পে যুক্তি খন্ডন, পাল্টা যুক্তি ছুঁড়ে দেওয়া, পরম মমতায় অবিশ্বাসের অন্ধকার দূরীকরণে এ যেন এক বিশ্বস্ত শিল্পী।
আরিফ আজাদ। জন্মেছেন চট্টগ্রাম। সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট। লিখেন বিশ্বাসের কথা। বিচূর্ণ করেন অবিশ্বাসের আয়না।
সূচীপত্রঃ
১. বনু কুরাইজা হত্যাকান্ড - ঘটনার পিছনের ঘটনা।
২. A Reply to Christian Missionary
৩. ইসলাম কি অমুসলিমদের অধিকার নিশ্চিত করে।
৪. কোরআনে বৈপরীত্যের সত্যাসত্য।
৫. কোরআন কি নারীদের শস্যক্ষেত্র বলেছে ?
৬. স্যাটানিক ভার্সেস ও শয়তানের ওপরে ঈমান আনার গল্প।
৭. রাসূলের একাধিক বিবাহের নেপথ্যে।
৮. জান্নাতেও মদ ?
৯. গল্পে জল্পে ডারউইনিজম।
১০. কুরআন কেন আরবী ভাষায় ?
১১. সমুদ্রবিজ্ঞান।
১২. লেট দেয়ার বি লাইট।
১৩. কাবার ঐতিহাসিক সত্যতা।
১৪. নিউটনের ঈশ্বর।
১৫. পরমাণুর চেয়েও ছোট।
১৬. সূর্য যাবে ডুবে।